খুলনা, বাংলাদেশ | ১৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১লা এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  ইসরাইলের বর্বর হামলায় ১০ দিনে ৩২২ শিশুর মৃত্যু
  ঈদের দিন ১০ জেলায় সড়কে ঝরলো ২১ প্রাণ

চাঁদা না দিলে ভবন গুড়িয়ে দেয়ার হুমকি, থানায় জিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার মজিদ স্মরণির একটি বহুতল ভবনে গিয়ে চাঁদা দাবির ঘটনায় থানায় জিডি হয়েছে। জিডিতে অভিযোগ করা হয়, সুলতান টাওয়ার নামের ওই ভবনটি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বলা হয়, তা না হলে ভবনে আগুন দেওয়াসহ বুলডোজার দিয়ে ভবনটি গুড়িয়ে দেওয়া হবে।

নগরীর মজিদ স্মরণির ১৩৩/ক নম্বর হোল্ডিংয়ের সুলতান টাওয়ারের হিসাব কর্মকর্তা রাজা মিজানুর রহমান বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় জিডি করেন। জিডিতে উল্লেখ করেন, ভবনটিতে সম্প্রতি কিছু যুবক এসে ভাড়াটিয়াদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। তারা নিজেদেরকে ছাত্র সমন্বয়ক দাবি করছে। প্রায়ই ওইসব অপরিচিত যুবক শ্রেণির লোকজন এসে তাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে বলে, ‘আপনাদেরকে এখান থেকে নেমে যেতে হবে। এই ভবন আমরা দখলে নেবো। না নামলে আপনাদের অনেক ক্ষতি হবে’ ইত্যাদি। এছাড়া ইতোমধ্যে বিভিন্ন মোবাইল থেকে ভবনের দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা কর্মচারীদের কাছে ফোন দিয়েও হুমকি দেয়।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভবনটিতে এসে কয়েকজন যুবক হুমকি দিয়ে যায়। এরপর ৩ মার্চ আবার এসে ভবনের কেয়ারটেকার মনিরকে তুলে নিতে চায়। তখন তাদেরকে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে হাত-পা ধরে রক্ষা পাওয়া গেলেও তারা যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে বলে যে, এ ভবনটি তাদেরকে ছেড়ে দিতে হবে। তা না হলে ভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হবে। এমনকি বুলডোজার দিয়ে ভবনটি গুড়িয়ে দেওয়া হবে।

সবশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে তারাবীহ চলাকালে ১০/১৫ জনের একটি দল সুলতান টাওয়ারের সামনে এসে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে। ওইসময় ভবনে যারা উপস্থিত ছিল তারা আতংকিত হয়ে পড়েন। তারা সেখানে বেশ কিছু সময় থেকে পুরো এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে। পরে ঈদের আগেই ভবন থেকে ভাড়াটিয়াদের নেমে যাওয়ার হুমকি দিয়ে বলে, তা না হলে টাকা দিতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলে আপনাদের চরম ক্ষতি হবে।

প্রসঙ্গত, খুলনায় সম্প্রতি ছাত্র পরিচয় দিয়ে বাড়ি, অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রায়ই মব তৈরির ঘটনা ঘটছে। আওয়ামী লীগ নেতা, সমর্থক ও ব্যবসায়ীদের অফিসে যাচ্ছে ছাত্র পরিচয় দেওয়া যুবকরা। চাঁদা দেওয়ার পরই কেবল মুক্তি মিলছে।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, কোনো চাঁদাবাজকে ছাড় দেওয়া হবে না। যত বড়ই শক্তিশালী হোক না কেন তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নেওয়া হবে। কোনো ভবন গুড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব কাউকে দেওয়া হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে জিডির ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

খুলনা গেজেট/হিমালয়




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!